*৩ ও ১ রাকাত বিতির নামাজ কিভাবে পড়বেন?*
➖➖➖
৩ রাকআত বিতরের নিয়ম হল দুই প্রকার;
(ক) ২ রাকআত পড়ে সালাম ফিরে দিতে হবে। অতঃপর উঠে পুনরায় নতুন করে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (ইবনে আবী শাইবা, ইর: ২/১৫০) ইবনে উমারও এইভাবে বিত্র পড়তেন। (বুখারী)
(খ) ৩ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্হুদে বসতে হবে। তাতে আত্-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৪, বায়হাকী ৩/২৮, ৩/৩১) এ ক্ষেত্রে মাগরেবের নামাযের মত মাঝে (২ রাকআত পড়ে) আত্-তাহিয়্যাত পড়া যাবে না। যেহেতু আল্লাহর রসূল (সাঃ) বিতরকে মাগরেবের মত পড়তে নিষেধ করেছেন। (ইবনে হিব্বান, সহীহ ২৪২০,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৪, বায়হাকী ৩/৩১, দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬৩৪নং)
এতদ্ব্যতীত ৩ রাকআত বিত্র মাগরেবের মত করে পড়া, (দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬৩৭নং) নতুন করে তাহ্রীমার তকবীর দেওয়ার মত (উল্টা) তকবীর দিয়ে পুনরায় হাত বেঁধে কুনূত পড়া ইত্যাদি কিছু সলফ কর্তৃক বর্ণনা করা হলেও তা সহীহ নয়। (ইর: ৪২৭নং, তুহ্ফাতুল আহওয়াযী ১/৪৬৪) অতএব তা বিদআত ও পরিত্যাজ্য।
১ রাকআত বিত্র :
বিত্র এক রাকআতও পড়া যায়। খোদ মহানবী (সাঃ) এক রাকআত বিত্র পড়তেন। তিনি বলেন, “রাতের নামায দু রাকআত দু রাকআত। অতঃপর তোমাদের কেউ যখন ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে তখন সে যেন এক রাকআত বিত্র পড়ে নেয়।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১২৫৪নং)
তিনি আরো বলেন, “বিত্র হল শেষ রাতে এক রাকআত।” (মুসলিম, মিশকাত ১২৫৫নং)
তিনি বলেন, “বিত্র হল প্রত্যেক মুসলিমের জন্য হ্ক বা সত্য। সুতরাং যে ৫ রাকআত বিত্র পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক, যে ৩ রাকআত পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক এবং যে এক রাকআত পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক।” (আবূদাঊদ, সুনান ১৪২২, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ১২৬৫নং)
ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে বলা হল যে, মুআবিয়া (রাঃ) এশার পরে এক রাকআত বিত্র পড়লেন (সেটা কি ঠিক)? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তিনি ঠিকই করেছেন। তিনি তো ফকীহ্। তাঁকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও, তিনি নবী (সাঃ)-এর সাহাবী।’ (বুখারী, মিশকাত ১২৭৭নং)
এ ছাড়া আরো অন্যান্য বহু সলফ ১ রাকআত বিত্র পড়তেন। (ইবনে আবী শাইবা দ্র:)
১ রাকাত বিতির পড়ার নিয়ম :
~~~~~
প্রথমে নিয়ত করবে (নাওয়াইতু… পড়বেন না, অন্তরে নিয়ত করবেন)
এরপর সানা পরবে, অতঃপর আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়বে।
এর পরে যে কোনো একটা সুরা মিলাবে। সুরা মিলানোর পর দুয়া কুনুত পড়বে। কুনুত দুইভাবে পড়া যায়, রুকুর আগে ও রুকুর পরে, তবে রুকুর পরে পড়াই উত্তম। তাই রুকুর পরে পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
আমাদের দেশে কুনুত পড়ার আগে আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলে আবার হাত বাঁধার যে নিয়ম প্রচলিত আছে তা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে প্রমানিত না। তাই আল্লাহু আকবার বলে হাত না তুলে কিরাতের পরে সরাসরি দুয়া কুনুত পড়তে হবে।
আর রুকুর পরে কুনুত পরতে চাইলে, কিরাতের পরে রুকু করবেন, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সামিয়াল্লাহ হুলিমান হা’মীদাহ, রাব্বানা লাকাল হা’মদ বলার পরে দাঁড়ানো অবস্থাতে মুনাজাতের মতো হাত তুলে কুনুত পড়বেন। কুনুত পড়ার সময় মুনাজাত করার মতো হাত তুলে কুনুত পড়া মুস্তাহাব । কুনুত শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাতে যাবেন । দুই সিজদা করার পর আর দাঁড়াবেন না (কারণ আপনি ১ রাকাত বিতির পড়ছেন)। আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ ও দু’আ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরাবেন।
➖➖➖
৩ রাকআত বিতরের নিয়ম হল দুই প্রকার;
(ক) ২ রাকআত পড়ে সালাম ফিরে দিতে হবে। অতঃপর উঠে পুনরায় নতুন করে আরো এক রাকআত পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (ইবনে আবী শাইবা, ইর: ২/১৫০) ইবনে উমারও এইভাবে বিত্র পড়তেন। (বুখারী)
(খ) ৩ রাকআত একটানা পড়ে তাশাহ্হুদে বসতে হবে। তাতে আত্-তাহিয়্যাত ও দরুদ-দুআ পড়ে সালাম ফিরতে হবে। (হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৪, বায়হাকী ৩/২৮, ৩/৩১) এ ক্ষেত্রে মাগরেবের নামাযের মত মাঝে (২ রাকআত পড়ে) আত্-তাহিয়্যাত পড়া যাবে না। যেহেতু আল্লাহর রসূল (সাঃ) বিতরকে মাগরেবের মত পড়তে নিষেধ করেছেন। (ইবনে হিব্বান, সহীহ ২৪২০,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৩০৪, বায়হাকী ৩/৩১, দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬৩৪নং)
এতদ্ব্যতীত ৩ রাকআত বিত্র মাগরেবের মত করে পড়া, (দারাক্বুত্বনী, সুনান ১৬৩৭নং) নতুন করে তাহ্রীমার তকবীর দেওয়ার মত (উল্টা) তকবীর দিয়ে পুনরায় হাত বেঁধে কুনূত পড়া ইত্যাদি কিছু সলফ কর্তৃক বর্ণনা করা হলেও তা সহীহ নয়। (ইর: ৪২৭নং, তুহ্ফাতুল আহওয়াযী ১/৪৬৪) অতএব তা বিদআত ও পরিত্যাজ্য।
১ রাকআত বিত্র :
বিত্র এক রাকআতও পড়া যায়। খোদ মহানবী (সাঃ) এক রাকআত বিত্র পড়তেন। তিনি বলেন, “রাতের নামায দু রাকআত দু রাকআত। অতঃপর তোমাদের কেউ যখন ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে তখন সে যেন এক রাকআত বিত্র পড়ে নেয়।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ১২৫৪নং)
তিনি আরো বলেন, “বিত্র হল শেষ রাতে এক রাকআত।” (মুসলিম, মিশকাত ১২৫৫নং)
তিনি বলেন, “বিত্র হল প্রত্যেক মুসলিমের জন্য হ্ক বা সত্য। সুতরাং যে ৫ রাকআত বিত্র পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক, যে ৩ রাকআত পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক এবং যে এক রাকআত পড়তে পছন্দ করে সে তাই পড়ুক।” (আবূদাঊদ, সুনান ১৪২২, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান, মিশকাত ১২৬৫নং)
ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে বলা হল যে, মুআবিয়া (রাঃ) এশার পরে এক রাকআত বিত্র পড়লেন (সেটা কি ঠিক)? উত্তরে তিনি বললেন, ‘তিনি ঠিকই করেছেন। তিনি তো ফকীহ্। তাঁকে নিজের অবস্থায় ছেড়ে দাও, তিনি নবী (সাঃ)-এর সাহাবী।’ (বুখারী, মিশকাত ১২৭৭নং)
এ ছাড়া আরো অন্যান্য বহু সলফ ১ রাকআত বিত্র পড়তেন। (ইবনে আবী শাইবা দ্র:)
১ রাকাত বিতির পড়ার নিয়ম :
~~~~~
প্রথমে নিয়ত করবে (নাওয়াইতু… পড়বেন না, অন্তরে নিয়ত করবেন)
এরপর সানা পরবে, অতঃপর আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়বে।
এর পরে যে কোনো একটা সুরা মিলাবে। সুরা মিলানোর পর দুয়া কুনুত পড়বে। কুনুত দুইভাবে পড়া যায়, রুকুর আগে ও রুকুর পরে, তবে রুকুর পরে পড়াই উত্তম। তাই রুকুর পরে পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
আমাদের দেশে কুনুত পড়ার আগে আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলে আবার হাত বাঁধার যে নিয়ম প্রচলিত আছে তা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে প্রমানিত না। তাই আল্লাহু আকবার বলে হাত না তুলে কিরাতের পরে সরাসরি দুয়া কুনুত পড়তে হবে।
আর রুকুর পরে কুনুত পরতে চাইলে, কিরাতের পরে রুকু করবেন, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সামিয়াল্লাহ হুলিমান হা’মীদাহ, রাব্বানা লাকাল হা’মদ বলার পরে দাঁড়ানো অবস্থাতে মুনাজাতের মতো হাত তুলে কুনুত পড়বেন। কুনুত পড়ার সময় মুনাজাত করার মতো হাত তুলে কুনুত পড়া মুস্তাহাব । কুনুত শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাতে যাবেন । দুই সিজদা করার পর আর দাঁড়াবেন না (কারণ আপনি ১ রাকাত বিতির পড়ছেন)। আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ ও দু’আ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরাবেন।

Post a Comment