নিয়ত কাকে বলে, নিয়ত কিভাবে করতে হয়? নামাজ-রোজা ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুখে নিয়ত পড়ার বিধান কি?





প্রশ্ন: নিয়ত কাকে বলে, নিয়ত কিভাবে করতে হয়? নামায-রোযা ইত্যাদি ক্ষেত্রে মুখে নিয়ত পড়ার বিধান কি?

 নিয়তের অপরিহার্যতা:

নিয়ত ছাড়া কোন ইবাদত আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
إنَّمَا الأعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَ إنَّمَا لِكُلِّ امْرِىءٍ مَا نَوَى
“নিশ্চয় প্রতিটি আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান পায়।” (সহীহ বুখারী, ১ম হাদীস)

 নিয়ত কাকে বলে এবং তা কিভাবে করব?

নিয়ত শব্দের অর্থ হল, ইচ্ছা করা বা মনস্থির করা।
আর পারিভাষিকভাবে নিয়তের ব্যাপারে ইমাম নওবী রহ. বলেন, কোন কাজের দৃঢ় ইচ্ছা পোষণ করাকে নিয়ত বলা হয়। (ফাইযুল কাদীর, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং- ৩০)
নিয়ত করতে হবে মনে মনে। অর্থাৎ কোন ইবাদতটি করব তা মনে মনে স্থীর করতে হবে।
মুখে উচ্চারণ করার প্রয়োজন নাই।

নিয়ত মুখে উচ্চারণের বিধানঃ
গদবাধা কিছু শব্দ উচ্চারণের মাধ্যমে মুখে নিয়ত পাঠ করা বিদআত। কেননা এর প্রমাণ না আছে আল্লাহ্‌র কিতাবে, না আছে তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নাতে।
আর শরীয়তের মূলনীতি হল, কোন ইবাদত করা অবৈধ যতক্ষণ না তার পক্ষে কুরআন বা সুন্নাহ্‌ থেকে কোন দলীল পাওয়া যায়।
কিন্তু এভাবে মুখে নিয়ত বলার পক্ষে কোন কুরআন-সুন্নাহর থেকে দলীল না থাকার কারণে তা পরিত্যাজ্য। এমনকি সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন এবং মুহাদ্দেসীনে কেরামদের কাও নিকট থেকে নিয়ত মুখে উচ্চারণ করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
 মোটকথা, নিয়ত অন্তরে থাকতে হবে। মুখে উচ্চারণ করা ঠিক নয়। কারণ মুখে উচ্চাণ করার পক্ষে কুরআন-সুন্নাহ থেকে কোন দলীল নাই। সুতরাং তা বিদআত।
তাই নামায, রোযা, হজ, যাকাত সহ সব ধরণের ইবাদতের ক্ষেত্রে মুখে নিয়ত উচ্চারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় বিদআত করার কারণে গুনাহগার হবে। কেননা প্রতিটি বিদআতই গোমরাহী। আর গোমরাহীর পরিণতি জাহান্নাম।
আল্লাহ আামদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করে সেভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

উত্তর প্রদানে:
শাইখ আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, ksa

Post a Comment

[blogger][facebook][disqus]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget