চাশতের সালাত
✅ *আপনি কি দৈনিক আপনার শরীরের সদাকা দিচ্ছেন?*
হাদীসটি আমরা অনেকেই জানিনা!*
উত্তরঃ
✅বুরাইদা (রা) বলেন,
রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, *মানুষের শরীরে ৩৬০ টি জোড় রয়েছে। অতএব মানুষের কর্তব্য হল প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে সদাকা করা।” সাহাবায়ে কেরাম (রা) বললেন, “ইয়া রাসূলুল্লাহ্! কার শক্তি আছে এই কাজ করার?” তিনি (সা) বললেন, “মসজিদে কোথাও কারোর থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোন ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের ( দুহার )দুই রাকা’আত সালাতই এর জন্য যথেষ্ট।”*
[আবু দাউদ; কিতাবুল ‘আদাব’, অধ্যায়ঃ ৪১, হাদীস নং:৫২২২]
উপরিউক্ত হাদীসটি মুলত
➡চাশতের সালাত বা সালাতুদ্ দুহা’র অপরিসীম গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের কথাই তুলে ধরে। এর থেকে আরো বোঝা যায় যে,চাশতের সালাত তথা সালাতুদ্ দুহা ৩৬০ টি সাদাকার সমতুল্য।
➡নবী,কারীম (সা) বলেছেন,
*এই সালাত (চাশতের/দুহার সালাত) আদায়ের উত্তম সময় হচ্ছে তখন, যখন সূর্যের তাপ এতোটা প্রখর যে, সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক উটও সেই তাপ অনুভব করতে পারে।*
[সহীহ্ মুসলিম; কিতাবুস্ সালাত, অধ্যায়ঃ ৪, হাদীস নং:১৬৩০]
➡এই সালাত প্রথম প্রহরের পর থেকে দ্বিপ্রহরের পূর্বেই পড়া হয় বলে একে “সালাতুদ দুহা” বা “চাশতের সালাত” বলা হয়।
➡দুহার বা চাশতের সালাত আদায়ের সময় হল সূর্য উঠার প্রায় ২০ মিনিট পর থেকে শুরু করে যোহর সালাতের প্রায় ১৫ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত।"
✅তবে প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে তাকে “সালাতুল ইশরাক্ক” বলে।
➡তার মানে আনুমানিক ১০টা থেকে আনুমানিক ১০:৩০টার মধ্যে চাশতের বা দুহা নামাজের উত্তম সময়।
➡ইশরাক বা চাশত বা দুহার নামায ২,৪,৬,৮,১২ বা যত ইচ্ছা তত রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।
✅ *আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার খলীল ও বন্ধু [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আমাকে তিনটি কাজের ওসিয়্যাত (বিশেষ আদেশ) করেছেন, আমৃত্যু তা আমি পরিত্যাগ করব না। (কাজ তিনটি হল) ১. প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম (পালন করা), ২. সালাতুয-দোহা (চাশ্ত এর সালাত আদায় করা) এবং ৩. বিত্র সালাত আদায় করে ঘুমান।*
(বুখারি ১১০৮)
✅ *আপনি কি দৈনিক আপনার শরীরের সদাকা দিচ্ছেন?*

Post a Comment