পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের রাকাত সংখ্যা, আদায়ের গুরুত্ব ও ফজিলত জানতে চাই।



প্রশ্ন: ৫ ওয়াক্ত সালাতের রাকাআত সংখ্যা, আদায়ের গুরুত্ব ও ফযীলত জানতে চাই।
▬▬▬▬●●●▬▬▬▬
উত্তর: নিম্নে ৫ ওয়াক্ত সালাতের রাকাআত সংখ্যা, আদায়ের গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হল:
🔷 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

(خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ فَمَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ فَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَأَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ)

“আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি তা কোনও অংশে কম না করে সঠিকভাবে আদায় করবে তার জন্যে আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুতি হল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে আদায় করবে না তার জন্যে আল্লাহর কোন প্রতিশ্রুতি নেই। ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন বা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (আবু দাউদ)

🔷 ৫ওয়াক্ত ফরজের পাশাপাশি প্রতিদিন ১২ রাকাআত সুন্নাতে মুআক্কাদা (গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত) আদায় করার ফযীলত।
এ মর্মে হাদীস:

عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ أَنَّهَا قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّي لِلَّهِ كُلَّ يَوْمٍ ثِنْتَيْعَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا غَيْرَ فَرِيضَةٍ إِلَّا بَنَى اللَّهُ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ

উম্মে হাবিবা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেনঃ “কোন মুসলিম ব্যক্তি দিনে-রাতে ফরয ব্যতীত বারো রাকাআত নফল নামায আদায় করবে তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করা হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)

🔷 ৫ ওয়াক্ত সালাতের রাকাআত সংখ্যা: (ফরজ ও সুন্নতে মুআক্কাদাহ সহ)

🔶 যোহর
৪ রাকাআত সুন্নত,
৪ রাকাআত ফরজ
২ রাকাআত সুন্নত
🔶 আসর
৪ রাকাআত ফরজ
🔶 মাগরিব
৩ রাকাআত ফরজ
২ রা্কাআত সুন্নত
🔶 ইশা
৪ রাকাআত ফরজ
২ রাকাআত সুন্নত
১/৩ রাকাআত বিতর
🔶 ফজর
২ রাকাআত সুন্নত
২ রাকাআত ফরজ
______
মোট ফরজ রাকআত সংখ্যা=১৭
সুন্নত রাকাআত সংখ্যা=১২
______

কোন ব্যক্তি যদি এ রাকাআতগুলো প্রতিদিন যথাসময়ে সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করতে পারে ইনশাআল্লাহ তিনি সফলতা অর্জন করবেন এবং বিরাট কল্যাণের অধিকারী হবেন।

এছাড়াও কেউ যদি নফল (অতিরিক্ত) পড়তে চায় তার জন্য সুযোগ আছে। হাদীসে এসব সালাতের বিশেষ মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে। যেমন,
🔰 প্রত্যেক বার ওযু করার পর তাহিয়াতুল ওযু ২ রাকআত।
🔰 প্রত্যেকবার মসজিদে প্রবেশের পর তাহিয়াতুল মসজিদ/দুখুলুল মসজিদ ২ রাকাআত।
🔰 আসরের আগে ৪ রাকাআত। (২+২ রাকাআত করে পড়া উত্তম)।
🔰 মাগরিবের ফরজ সালাতের পূর্বে ২ রাকাআত।
🔰 তাহাজ্জুদের সালাত
🔰 ইশরাক বা চাশত বা আওয়াবীনের সালাত
🔰 তওবার জন্য দু রাকআত সালাত।
🔰এছাড়াও তিনটি নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যখন ইচ্ছা দু রাকাআত করে নফল সালাত।
▬▬▬▬●●●▬▬▬▬
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

Post a Comment

[blogger][facebook][disqus]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget