দিনের বেলা বিতর সালাত কাযা করলে তা জোড় সংখ্যায় পড়ার দলিল ও আলেমদের মতামত:



-----------------
সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا فاتته الصلاة من الليل ـ من وجع أو غيره ـ صلى من النهار ثنتي عشرة ركعة.
“যদি কখনো নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে নিদ্রা জনিত কারণে বা অসুস্থতার কারণে রাতে ক্বিয়ামুল্লায়ল (তাহাজ্জুদ) আদায় করতে অপারগ হতেন, তবে দিনের বেলায় ১২ রাকাত নামায আদায় করতেন।”
(সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: মুসাফিরের নামায, অনুচ্ছেদ: রাতের যাবতীয় নামায এবং যে ব্যক্তি নামায না পড়ে ঘুমিয়ে থাকবে বা অসুস্থ হয়ে যাবে। (এটি দীর্ঘ একটি হাদীছের অংশ বিশেষ) হা/১২৩৩)

এ হাদীস থেকেই অনেক আলেম বলেন, দিনের বেলা বেজোড় নামায নেই। যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো বেজোড় পড়েন নি।
উক্ত হাদীস থেকে ইবনে তাইমিয়া রহঃ. বলেন,
الصحيح أنه يقضي شفعه معه
“বিশুদ্ধ মত হল, (দিনের বেলা) কিয়ামুল্লায়ল (তাহাজ্জুদ) এর সাথে বিতর জোড় সংখ্যায় পড়বে”
আল্লামা উসাইমীন রহ. বলেন:
تصلي في الضحى وتراً مشفوعاً بركعة، فإذا كان من عادتك أن توتر بثلاث صليت أربعاً، وإذا كان من عادتك أن توتر بخمس فصل ستاً، لحديث عائشة ـ رضي الله عنها:
যোহা (অপরাহ্ণ) এর সময় এক রাকাআত যোগ করে বিতর পড়বে। তোমার যদি তিন রাকআত পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে চার রাকাআত পড়বে আর পাঁচ রাকআতের অভ্যাস থাকলে ছয় রাকাআত পড়বে। এরপর তিনি আয়েশা রা. থেকে উপরোক্ত হাদীসটি দ্বারা দলীল পেশ করেন।
সউদী আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ বিন বায. একই মত পোষণ করেন।

তবে হ্যাঁ, একদল আলেম বলেছেন যে, বিতর যেমন ছিল তেমনই পড়বে। (অর্থাৎ বেজোড়ই পড়বে; জোড় পড়বে না)
কিন্তু উক্ত হাদীসের আলোক দেখা যাচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিনে তাহাজ্জুদের সালাত বিতর সহ ১২ রাকাআত পড়েছেন। তিন বেজোড় পড়েন নি। সুতরাং এখান থেকে ১ম মতটি অধিক বিশুদ্ধ প্রমাণিত হয়।

এখন কেউ যদি ১ম মতটি গ্রহণ করতে চায় তাহলে তার স্বাধীনতা আছে। যেহেতু বিষয়টি দ্বিমত পূর্ণ। সুতরাং অন্য মতটি কেউ গ্রহণ করতে চাইলে তা করতে পারে। কিন্তু দলীলের আলোকে আমাদের কাছে ১ম মতটি অধিক বিশুদ্ধ বলে প্রতিয়মান হয়।

উল্লেখ্য যে, কোন ব্যক্তি যদি বিতর নামায অন্য রাতে কাযা করতে চায় তাহলে তখন যথানিয়মে (অর্থাৎ বেজোড় সংখ্যায়) আদায় করতে হবে। জোড় সংখ্যায় পড়ার বিষয়টি কেবল দিনে কাযা করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আল্লাহু আলাম।
আল্লাহু আলাম।
------------------------
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
https://www.facebook.com/Guidance2TheRightPath/photos/a.251877328565153/417338298685721/?type=3&theater

Post a Comment

[blogger][facebook][disqus]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget